Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর/সমাধান অর্থনীতি-৪র্থসপ্তাহ (এসাইনমেন্ট ৩) | এইচএসসি ৪র্থসপ্তাহের অর্থনীতি এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর ২০২১

 এইচএসসি এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর/সমাধান অর্থনীতি-৪র্থসপ্তাহ (এসাইনমেন্ট ৩) | এইচএসসি ৪র্থসপ্তাহের অর্থনীতি এসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর ২০২১





শিরােনাম: চাহিদা এবং যােগানবিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ চাহিদা ও যােগানের ধারণা অর্থনীতির ভাষায় চাহিদা এবং যােগান বলতে কোন একটি পণ্যের বা সেবার ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে বিদ্যমান বাজার সম্পর্ক বােঝায়।






(ক) চাহিদা ও যোগানের ধারণা:


জাতিসতক সম্পদ বইটিতে স্মিথ ধরে নিয়েছিলেন যে সরবরাহ মূল্য সর্বদা স্থির থাকবে এবং দাম কমলে বা বাড়লে চাহিদা বাড়বে বা কমবে। রিকার্ডো তার ধারণাগুলাে প্রকাশ করার সময় এই অনুমানগুলাের উপর আর অধিক জোর দিয়েছিলেন। ১৮৩৮ সালে সম্পদের গাণিতিক বিধিমালা সংক্রান্ত গবেষণা প্রবন্ধে তিনি চাহিদা ও যােগানের মধ্যে একটি গাণিতিক সম্পর্ক দাঁড় করান। উনিশ শতকের শেষদিকে প্রান্তিক(marginialist) চিন্তাধারার সূচনা ঘটে। স্টানলি জেভ, কার্ল মেঞ্জার ও লিও ওয়ার্লস এই বিষয়টির সূচনা করেন। মূল ধারণাটি ছিলাে এই যে, মূল্য নির্ধারিত হয় সর্বাধিক মূলা দ্বারা,আর এটাই প্রান্তিক মূলা। অ্যাডাম স্মিথ যে ধারণা করেছিলেন যে মূল্য নির্ধারিত হয় সরবরাহ মূল্য থেকে, তার থেকে এটা ছিল অনেকদূর সরে আসা। ১৮৯০ সালে আলফ্রেড মার্শাল রচিত -অর্থনীতির কার্যকারণ গ্রন্থটিতে এই ধারণাটি আরাে উন্নতি লাভ করে। লিও ওয়াস এর সাধে মার্শালও একটি সাম্যাবস্থার খোঁজ করতে থাকেন যেখানে চাহিদা ও যােগান রেখা দুটি মিলিত হবে। তারা বাজারের ওপর এদের প্রভাবও বােঝার চেষ্টা করলেন। উনিশ শতকের শেষ থেকেই চাহিদা ও যােগানের এই সম্পর্কগুলাে মােটামুটি অপরিবর্তিত রয়েছে। আর অধিকাংশ গবেষণায় হয়েছে এদের। ব্যতিক্রমগুলােকে পর্যালােচনা করা নিয়ে।


(খ)চাহিদাবিধি ও যােগানবিধি 


চাহিদা বিধি বা সূত্র বলতে আমরা বুঝি অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থেকে কোনাে নির্দিষ্ট সময়ে পণ্যের দাম কমলে তার চাহিদার পরিমাণ বাড়ে এবং দাম বাড়লে চাহিদার পরিমাণ কমে। অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত বলতে এখানে বােঝানাে হচ্ছে, ক্রেতার রুচি, অভ্যাস ও পছন্দের। কোনাে পরিবর্তন হবে না এবং ক্রেতার আয় বিকল্প দ্রব্যের দাম অপরিবর্তিত থাকবে ইত্যাদি। যােগানবিধিকী? দাম ও যােগানের সম্পর্ককে যােগান বিধি বলে আমরা প্রতিনিয়ত বাজারে জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয় করে থাকি। একজন বিক্রেতা তখনই দ্রব্যটি বিক্রয় করতে আগ্রহী হবেন, যখন বাজারে এর দাম সবচেয়ে বেশি।


উদাহরণ:

আলুর কেজি যখন ১৫ টাকা, তখন একজন বিক্রেতা দুই কুইন্টাল আলু বিক্রয় করেন। দাম বেড়ে ২০ টাকা কেজি হলে তখন বিক্রেত ৩০ কুইন্টাল আলু সরবরাহ করেন। অর্থাৎ দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দ্রব্যের যােগানের পরিমাণ বাড়ে এবং দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে দ্রব্যের যােগানের পরিমাণ কমে যায়। দাম ও যােগানের এই সম্পর্ককে যােগান বিধি বলে।


(গ) ভারসাম্য অবস্থা:

ভারসাম্য শব্দটি পদার্থ বিজ্ঞানের একটি বিষয় হলেও অর্থনীতিতে ভারসাম্য শব্দটির অর্থনৈতিক ব্যবহার হয়ে থাকে। অর্থনীতির প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভারসাম্য ধারণাটি ব্যবহৃত হয়। অর্থনীতিতে ভারসাম্য আসলে অর্থনৈতিক মডেলের ভারসাম্য বুঝায়। যেমন: কোনাে ভােক্তার ভারসাম্য, উৎপাদকের ভারসাম্য ইত্যাদি। ভারসাম্য: ভারসাম্য অৰ্থ স্থিতাবস্থা বা সাম্য অবস্থা। ভারসাম্য বলতে অর্থনৈতিক মডেলের এমন একটি অবস্থা বুঝায়, যে অবস্থায় মডেলের অর্থনৈতিক চলকগুলাে এমন একটি স্থির মানে উপনীত হয়, যেখানে মানগুলাে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মডেলের নিজৰ কোনাে প্রবণতা থাকে না। ভারসাম্য দাম: যে কোনাে দ্রব্য বা সেবা সামগ্রীর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে দামে চাহিদা ও যােগানের পরিমাণ সমান হয়, তাকে ভারসাম্য দাম বলা হয়।


(ঘ)ভারসাম্য পরিমাণ:


একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ দ্রব্যের ক্ষেত্রে চাহিদা দাম ও যােগান দাম সমান হয়, তাকে ভারসাম্য পরিমাণ বলা হয়। উপরােক্ত আলােচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, প্রতিযােগিতামূলক বাজারে চাহিদা ও যােগানের সমতা বিন্দুতে বাজার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়। যে দামে বাজারে কোনাে একটি দ্রব্যের মােট চাহিদা ও মােট যােগান পরস্পরের সমান হয়, তা-ই বাজারের ভারসাম্য অবস্থা। ভারসাম্য অবস্থা ক্রেতা ও বিক্রেতার জন্য গ্রহণযােগ্য দাম ও পরিমাণ নির্ধারিত হয়।দমের ওঠা-নামায় চাহিদা ও যােগানের পরিমাণ চাহিদা ও যােগান বিশ্লেষনে দাম (দ্রব্য বিনিময়ের হর) উৎপাদন ও ভােগের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। দাম ও পরিমাণকে বাজার ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য সবচাইতে বেশি প্রতক্ষ পর্যবেক্ষণ চলক হিসেবে। ব্যবহ্র করা হয়। যােগান, চাহিদা ও বাজার ভারসাম্য তত্ত্বভাবে দাম ও দ্রব্যের পরিমাণের সহিত সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু দাম ও চাহিদা পরিবর্তনের পরিমাপে উপাদানের প্রভাব নির্ণয় করা হয়—তাদের মাধ্যমে, দাম ও পরিমাণ—ফলিত ব্যষ্টিক অর্থনীতি ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে আদর্শ চলক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অর্থনৈতিক তত্ত্বসমূহ বিদ্যমান পরিমাণে দাম কি হবে তা নির্ধারণ করে। বাস্তবিকপক্ষে, দাম ও পরিমাণের পরিবর্তনের ফলে যােগান ও চাহিদা কতটুকু পরিবর্তন হবে তা নির্ণয় করার চেষ্টা করা হয়।



Post a Comment

0 Comments